রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র মিঠা পানির জলাধার এবং এটি বাংলাদেশের বন বিভাগ রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বছরে পাঁচ থেকে ছয় মাস পানির নিচে থাকে। এসময় হাজার হাজার পর্যটক পানিতে ডুবে থাকা গাছ দেখতে আসেন। ওয়াচ টাওয়ার থেকে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এর সৌন্দর্য সবচেয়ে ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।
রাতারগুলে কায়াকিংয়ের মতো বিভিন্ন উত্তেজনাপূর্ণ এক্টিভিটি পাওয়া যায়। কায়াকিংয়ের মাধ্যমে দর্শকেরা তাদের নিজস্ব গতিতে জলাভূমি উপভোগ করতে পারে এবং যেখানে খুশি সেখানে ঘোরাঘুরি করতে পারেন। প্রতিটি কায়াক তিন জনের ধারণক্ষমতা, জনপ্রতি ১৫০ টাকা। পথটি বিভ্রান্তিকর হতে পারে বলে প্রথমবার গাইডের সাথে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫০ টাকায় গাইড নেওয়া যেতে পারে।
রাতারগুলে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পাখি প্রেমীরা বিভিন্ন পাখির প্রজাতির দর্শন উপভোগ করতে পারে এবং প্রকৃতি প্রেমীরা বিভিন্ন ধরণের গাছপালা অনুভব করতে পারে।
রাতারগুল কিভাবে পৌঁছাবেন
সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে পর্যটকরা রাতারগুলে যেতে পারেন। এখানে তারা সিএনজি অটোরিকশা স্টেশন পাবেন। আম্বরখানা স্টেশন থেকে রাতারগুল হয়ে বিমানবন্দর সড়কের দূরত্ব প্রায় ২০ কিমি। পর্যটকরা শেয়ার্ড রাইড নিতে পারেন বা ব্যক্তিগতভাবে গাড়ী ভাড়া নিতে পারেন। শেয়ার্ড রাইড জনপ্রতি ৮০ টাকা এবং ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণের জন্য ৮০০-১০০০ টাকা খরচ হতে পারে। খাদিম চা বাগান এবং খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান হয়েও রাতারগুল পৌঁছানো সম্ভব। ফিরতি ট্রিপে
সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া পড়ব ১০০০-১২০০ টাকা। ছুটির দিনে, ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে। সিলেট থেকে রাতারগুল পর্যন্ত গাড়ি বা মাইক্রোবাস ভাড়া প্রতিদিন ২০০০-৩০০০ টাকা।
মোটরঘাট বা চৌরঙ্গী ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করা যায়। মোটরঘাট থেকে নৌকা ভাড়া ১৫০০ টাকা এবং চৌরঙ্গী ঘাট থেকে ৭০০-৮০০ টাকা। কায়াক করতে ইচ্ছুকদের চৌরঙ্গী ঘাট থেকে ভ্রমণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কেউ যদি জাফলং বা লালাখাল ভ্রমণ করেন, তাহলে সরাইঘাট থেকে গোয়াইনঘাট রোড ব্যবহার করে রাতারগুল ঘুরে আসা সম্ভব।
রাতারগুল দেখার সেরা সময়
রাতারগুল ভ্রমণের জন্য বর্ষাকাল বা বর্ষা সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। বর্ষাকালে বনগুলো প্রায় ২০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। সে তুলনায় শীতকালে পানির উচ্চতা হয় মাত্র ১০ ফুট।
রাতারগুলে কোথায় থাকবেন
যদিও রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে কোনো হোটেল নেই, পর্যটকরা সিলেট শহরে মাঝারি থেকে ৫ স্টার মানের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন।